Police Commissioner
ভূমিকাঃ স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র বন্দর ও তৃতীয় বৃহত্তম শিল্পনগরী খুলনা দ্রুত কর্মচঞ্চল হয়ে উঠে । দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা মানুষের ঢল দিন দিন বেড়ে চলেছে । ৬০ এর দশকের শেষে যে নগরীতে মাত্র ২ লক্ষ লোকের বাস ছিল ৮০ এর দশকে তা দাঁড়ায় ১০ লক্ষের কোঠায় যা বর্তমানে প্রায় ১৬ লক্ষ দাঁড়িয়েছে । ফলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সফল মোকাবেলায় জন্য প্রয়োজন হয় একটি সুসংগঠিত পুলিশ বাহিনীর । এ পরিস্থিতিতে বৃহত্তম জনস্বার্থে পুলিশ বাহিনীকে যুগোপযোগী করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে এলাকার জনসাধারণের বহুদিনের লালিত বাসনা পূরনার্থে ১৯৮৪ সালের ১২ ডিসেম্বর সরকার খুলনা শহরকে মেট্রোপলিটন শহরে উন্নীত করার ঘোষণা করেন । তারই ফলশ্রুতিতে ১৯৮৬ সালের ১ জুলাই থেকে অত্র এলাকার জনগণের দীর্ঘদিনের কাঙ্খিত খুলনা মহানগরী পুলিশের কার্যক্রম শুরু হয় । মহানগরীর সীমানা স্বাভাবিকভাবেই খুলনা সিটি কর্পোরেশনের বাহিরেও বিস্তার লাভ করে । শুরুতে খুলনা মহানগরী পুলিশ এর আয়তন ছিল ১২ বর্গ কিলোমিটার এবং ৫ টি থানা, ১৬ টি পুলিশ ফাঁড়ি, ৩টি পুলিশ ক্যাম্প এবং ৯টি পুলিশ বক্স এর সমন্বয় মহানগর পুলিশ গঠিত হয় । পরবর্তীতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্মারক নং-৪৪.০০.০০০০.০৯৬.০১.০০২.১৩-৫০৪(১) তারিখঃ ১০-০৭-২০১৩ খ্রিঃ এবং পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স স্মারক নং-ওএন্ডএম/২৭-২০১৩/৫০৯ তারিখঃ ১৭-০৭-২০১৩ খ্রিঃ মূলে খুলনা জেলার ডুমুরিয়া ও বটিয়াঘাটা থানা এলাকার কিছু অংশ নিয়ে খুলনা মহানগরীর জন্যে আরো ৩টি নতুন থানা যথাক্রমে ১. লবনচরা ২. হরিণটানা ও ৩. আড়ংঘাটা থানা সরকারি মঞ্জুরী প্রদান করা হয় এবং গত ০৫-১০-২০১৩ খ্রিঃ তারিখ হতে উক্ত থানা ০৩টি আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম আরম্ভ হয় । বর্তমানে খুলনা সিটি কর্পোরেশন এর ৩১টি ওয়ার্ড এবং ০৬টি ইউনিয়ন আটরা গিলেতলা, যোগীপোল, আড়ংঘাটা, জলমা (আংশিক), রংপুর (আংশিক), ও গুটুদিয়া (আংশিক) নিয়ে খুলনা মহানগর পুলিশ এর সীমানা যার আয়তন প্রায় ১২৭ বর্গ কিলোমিটার । সাংগঠনিক কাঠামোঃ খুলনা মহানগর পুলিশ এর বিদ্যমান সাংগঠনিক কাঠামোতে ০১ জন পুলিশ কমিশনার, ০২ জন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার, ০৮ জন উপ-পুলিশ কমিশনার, ১৪ জন অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার, ১৯ জন সহকারী পুলিশ কমিশনার, ৬৫ জন পুলিশ পরিদর্শকসহ সর্বমোট ৪১০১ জন জনবল এর মঞ্জুরী রয়েছে । মহানগর পুলিশ ০২টি বিভাগে বিভক্ত যা দক্ষিণ বিভাগ ও উত্তর বিভাগ । দক্ষিণ বিভাগের অধীনে ০২টি জন যথা খুলনা জোন ও সোনাডাঙ্গা জোন এবং ০৪টি থানা যথা খুলনা থানা, লবনচোরা থানা, সোনাডাঙ্গা মডেল থানা ও হরিণটানা বিদ্যমান । অপরদিকে উত্তর বিভাগের অধীনে ০২টি জোন যথা খালিশপুর জোন ও দৌলতপুর জোন এবং ০৪টি থানা রয়েছে যথা খালিশপুর থানা, দৌলতপুর থানা, আড়ংঘাটা থানা এবং খানজাহান আলী থানা রয়েছে । এছাড়া উভয় বিভাগের সর্বমোট ১৬টি পুলিশ ফাঁড়ি, ০৬টি পুলিশ বক্স ও ০৩টি পুলিশ ক্যাম্প রয়েছে । উল্লেখ্য যে, বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতাল, খুলনা মহানগর পুলিশের নিয়ন্ত্রণাধীন । উপসংহারঃ খুলনা মহানগরী বাংলাদেশের শিল্পায়নে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে । ১৯৫০ থেকে ১৯৭০ সালের মধ্যে সাবেক খুলনা, দৌলতপুর, ফুলতলা থানা এলাকা জুড়ে একটি বিস্তিৃত অংশ শিল্প এলাকায় পরিণত হয় । দেশের অন্যতম বৃহৎ জাহাজ নির্মাণ কারখানা খুলনা শিপইয়ার্ড, ১১টি পাটকল, ১৫টি জুট বেলিং প্রেস, হার্ডবোর্ড মিল, সি-ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ, পাওয়ার হাউজ, রুজভেল্ট জেটি, আইডব্লিউটিএ টার্মিনাল, বহুসংখ্যক চিংড়ি রপ্তানী প্রক্রিয়াকরণ প্রতিষ্ঠান, অনেক ছোট-মাঝারি কলকারখানা ও শিল্প প্রতিষ্ঠান ছাড়াও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, একটি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ০১টি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজসহ ২৭টি কলেজ, ০১টি মেডিকেল কলেজ, ০১টি আর্ট কলেজ ও ৯৪টি উচ্চ বিদ্যালয় খুলনা মহানগরীতে বিদ্যমান । মংলা সামুদ্রিক বন্দর দক্ষিণ ও উত্তর বঙ্গের আমদানি রপ্তানি পণ্যের জন্য খুলনা মহানগরীর একমাত্র যোগ্য স্থল । রাজনৈতিক কর্মকান্ডের দিক থেকে এ অঞ্চলটি ব্রিটিশ আমল থেকে অত্যন্ত সচেতন । অনেক আন্দোলনের সূতিকাগার মহানগর এলাকায় সংসদ নির্বাচন, বহুসংখ্যক শিল্প প্রতিষ্ঠানের সিবিএ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ইউনিয়নসমূহের নির্বাচনের ন্যায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব মহানগর পুলিশ দক্ষতার সাথে পালন করছে । দৈনিন্দিন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ প্রতিরোধ এবং মামলা তদন্ত ছাড়াও বিচারকার্য পরিচালনায় সহযোগিতা প্রদানে খুলনা মহানগর পুলিশের সদস্যগণ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে আসছে ।
Khulna Metropolitan Police (KMP) is committed to enforce law, maintain social order, reduce fear of crime, enhance public safety and ensure internal security with the active support of the community.
To provide quality service by competent, efficient and dedicated professionals enjoying trust and respect of citizens to make Rajshahi City better and safer place to live.